হাওর, দ্বীপ ও চর এলাকায় সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে কর্মরতদের মা‌সিক ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রেডভেদে প্রতি মাসে ভাতার পরিমাণ হবে সর্বনিম্ন এক হাজার ৬৫০ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা।

রোববার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং নীতি ও প্রবিধি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দি‌য়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রুপালী, বিডিবিএল ও বেসিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রজ্ঞাপনের আ‌লো‌কে এ নি‌র্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে এ ভাতা দি‌তে বলা হ‌য়ে‌ছে।

‌নি‌র্দেশনা অনুযায়ী, ১৬ উপজেলার সরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ভাতা পা‌বেন। এগু‌লো হলো- কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম; চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজীবপুর, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, ভোলার মনপুরা, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরি।

২০১৫ সা‌লের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী, ২০ গ্রেডের কর্মীরা পাবেন এক হাজার ৬৫০ টাকা, ১৯ গ্রেডের ক্ষেত্রে এক হাজার ৭০০ টাকা, ১৮ গ্রেডে এক হাজার ৭৬০ টাকা, ১৭ গ্রেডে এক হাজার ৮০০ টাকা, ১৬ গ্রেডে এক হাজার ৮৬০ টাকা, ১৫ গ্রেডে এক হাজার ৯৪০ টাকা, ১৪ গ্রেডে দুই হাজার ৪০ টাকা, ১৩ গ্রেডে দুই হাজার ২০০ টাকা, ১২ গ্রেডে দুই হাজার ২৬০ টাকা, ১১ গ্রেডে দুই হাজার ৫০০ টাকা, ১০ম গ্রেডে তিন হাজার ২০০ টাকা, ৯ম গ্রেডে চার হাজার ৪০০ টাকা, ৮ম গ্রেডে চার হাজার ৬০০ টাকা ও প্রথম থেকে ৭ম গ্রেডের কর্মকর্তারা পাবেন পাঁচ হাজার টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নি‌র্দেশনার ফলে সরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলতি মাস থেকে এই ভাতা পাবেন। ফলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোও হাওর, দ্বীপ ও চরের কর্মকর্তাদের ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে পারে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।

এ‌র আ‌গে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে পার্বত্য এলাকা বহির্ভূত ১৬ উপজেলাকে হাওর, দ্বীপ ও চর উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট জারি করে।

এসআই/ওএফ