কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (৯ জানুয়ারি) উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা বাস্তবায়নে স্টিয়ারিং কমিটির ২য় সভায় (ভার্চুয়াল) মন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণয়ন। সারাদেশে এই জিএপি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। 

সেজন্য কর্মকর্তা, চাষি, রফতানিকারকসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করতে হবে ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেসব এলাকা থেকে শাকসবজি ও ফলমূল রফতানির সম্ভাবনা বেশি, আপাতত সেসব এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাইলট বা পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করতে হবে। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃষিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করতে হলে কৃষিপণ্যকে রফতানিমুখী করতে হবে। কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য জিএপি মানতে হবে। এটি বিবেচনায় নিয়ে আমরা এ নীতিমালা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। 

সভায় বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, ইতোমধ্যে এ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য  কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে ম্যাট্টিক্স আকারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। বিএআরসিকে স্কিমওনার হিসেবে মনোনয়ন করা হয়েছে। 

এছাড়া জিএপি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন অংশীজন সমন্বয়ে স্টিয়ারিং কমিটি, টেকনিক্যাল কমিটি ও সার্টিফিকেশন কমিটি গঠিত হয়েছে।  

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, মো. রুহুল আমিন তালুকদার, হাসানুজ্জামান কল্লোল, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বিএআরসির চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিজি বেনজীর আলমসহ অন্যান্য সংস্থা প্রধান ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচআর/জেডএস