সঠিক ও ত্রুটিমুক্ত বিবরণী তৈরির জন্য নির্ভুল তথ্য পাঠাতে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে সঠিক তথ্য পাঠাতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থাটি।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রবিধানমালা, ১৯৯৪ (জুন, ২০০৩ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ধারা ১২ মােতাবেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিসংখ্যান বিভাগে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এনবিএফআই-২ ও এনবিএফআই-৩ বিবরণী দাখিল করে আসছে। দেশের আর্থিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিবরণীগুলাে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই তথ্য-উপাত্তগুলাে নির্ভুল হওয়া অত্যাবশ্য। এমন অবস্থায় আর্থিক বিবরণী সঠিক ও ত্রুটিমুক্ত করতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অবশ্যই পরিপালনীয়।

এর মধ্যে রয়েছে, গ্রাহকের নতুন হিসাব খােলার সময় এনবিএফআই-২ ও এনবিএফআই-৩ রিপোর্টিং ফরমটি (সংযুক্ত) পূরণ করতে হবে। যা অ্যাকাউন্ট ওপেন ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি ত্রৈমাসিকের বিবরণী পরবর্তী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে। যেখানে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সই থাকতে হবে। তবে এমডি অনুপস্থিতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তাসহ দুইজন কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ বিবরণী দাখিল করতে হবে। শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তা দ্বারা অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফরম পূরণ এবং উল্লেখিত যথাসময়ে নির্ভুলভাবে দাখিলের প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতি মাসের আমানত ও আগামের সুদ ও মুনাফা হারের বিবরণী পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে আপলোড করতে হবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকে বিবরণী দাখিলের সময় নতুন শাখার কার্যক্রম চালু হওয়ার ৭ কর্মদিবসের মধ্যে শাখা কোডের জন্য
আবেদন করতে হবে। প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক শাখার তালিকা জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখের পাঠাতে হবে।

এসআই/এসকেডি