জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে প্রয়োজনের তুলনায় ৮ দশমিক ৬৫ গুণ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের আইপিওতে আবেদন শুরু হয়। শেষ হয় ৩ মার্চ। এই সময়ে ৭৫ কোটি টাকার আইপিওর বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৬৪৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার। যা প্রয়োজনীয় আবেদনের তুলনায় প্রায় ৮ দশমিক ৬৫ গুণ।

এতে প্রতি ১০ হাজার টাকা আবেদনের বিপরীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৫১ অথবা ৫২টি শেয়ার এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৫৮ অথবা ৫৯টি শেয়ার।

এর আগে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির বিডিং (নিলামে) অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে কাট-অব প্রাইস ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাট-অব প্রাইস থেকে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্টে অর্থাৎ আইপিওতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৯৯তম নিয়মিত কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে বিনিয়োগকারীদের থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে প্রাথমিক অবস্থায় বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়।

এরপর আইপিওতে অর্থউত্তোলনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। এই টাকা জমি ও মেশিনারিজ কেনার পাশাপাশি ভবন তৈরি এবং ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করা হবে।

কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া নিট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭৮ পয়সা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ নিট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯৯ পয়সায়। বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪২ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।

গতকাল এক অনুষ্ঠানে জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে দেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাত নিয়ে কাজ করছে জেএমআই। জেএমআই হসপিটাল নানা ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি হচ্ছে, যেগুলো দেশের বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি রফতানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তাই এই প্রতিষ্ঠানে যারা বিনিয়োগ করেছেন, তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

এমআই/এমএইচএস