বিনিয়োগকারীদের আমানত অর্থাৎ শেয়ার ও অর্থ সরিয়ে নেওয়া তামহা, ক্রেস্ট এবং বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডসহ ২৫টি ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন সনদ নবায়ন বন্ধসহ নানা সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এমন এক নির্দেশনা ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি জানান, যে সব ব্রোকার হাউজের বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টের শেয়ার কিংবা নগদ অর্থের ঘাটতি রয়েছে, সে সব ব্রোকার হাউজের সুবিধা স্থগিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিএসইসির পক্ষে।

বিএসইসি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন কিছু ট্রেক হোল্ডার কোম্পানির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে গ্রাহকদের বিনিয়োগকরা অর্থ এবং সংশ্লিষ্ট ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীতে গ্রাহকদের সিকিউরিটিজের ঘাটতি উদঘাটিত হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি এবং পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান (ট্রেক হোল্ডার) বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি করেছে তাদের ‘ফ্রি লিমিট সুবিধা’ এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন শেয়ারের লভ্যাংশ স্থগিত থাকবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন সনদ নবায়ন স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান নতুন করে কোনো শাখা বা বুথ খুলতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি কর্তৃক গ্রাহকদের বিনিয়োগকরা অর্থ ও সিকিউরিটিজের ঘাটতি সমন্বয় করার পর ন্যূনতম এক বছর ডিএসই এবং সিএসইকে এসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিমাসে দুবার সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে থাকা শেয়ার পরীক্ষা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সেই নির্দেশ না অনুসারে ২৫টি ব্রোকার হাউজের সুযোগ-সুবিধা আপতত স্থগিত থাকছে।

এমআই/এসএম