পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা বাড়াতে বুধবার (২৩ মার্চ) পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

বিএসইসির লক্ষ্য পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট দূর করা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতা বাড়ানো। বিএসইসি মনে করে, ৩৩টি ব্যাংক বিনিয়োগের সীমা অনুসারে অন্তত ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা করতে পারবে।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। যা বিনিয়োগ সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে না। 

এছাড়া ব্যাংকিং কোম্পানিজ আইনে প্রতিটি ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এই মূলধনের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, স্ট্যাচুরি রিজার্ভ ও রিটেইন আর্নিংস অন্তর্ভুক্ত।

কিন্তু অনেক ব্যাংক বিনিয়োগ সীমা ও ২০০ কোটির বিশেষ তহবিলের থেকে অনেক কম বিনিয়োগ করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ২০০ কোটির বিশেষ তহবিল গঠনই করেনি। 

এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ী ও বিশেষ তহবিল থেকে বিনিয়োগের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যারা বিশেষ তহবিল এখনো গঠন করেনি, সেসব ব্যাংককে তা গঠন করে বিনিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।

বিএসইসির চিঠি অনুযায়ী, ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে পুঁজিবাজারে মাত্র ২৮টি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এখনো ৩৩টি ব্যাংক এই তহবিল গঠন করেনি। এছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক বিনিয়োগ সীমার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করেনি।

এমআই/আইএসএইচ