অতিদ্রুত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০ নন-লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির উদ্যোক্তাদের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশ দিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। একইসঙ্গে পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) আইডিআরএ পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত চিঠি ৩০ নন-লাইফ বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিমা কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিমা আইন ২০১০ এর ২১ ধারা এবং তফসিল (১)(খ) অনুযায়ী বাংলাদেশে নিবন্ধিত নন-লাইফ বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা। যার ৬০ শতাংশ হবে উদ্যোক্তাদের এবং বাকি ৪০ শতাংশ হবে জন সাধারণের। এ হিসাবে ৪০ কোটির ৬০ শতাংশ বা ২৪ কোটি টাকার মালিকানা হবে উদ্যোক্তাদের। তবে কিছু কিছু নন-লাইফ বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তারা এখনো পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশে তাদের মালিকানা করতে পারেনি।

এই পরিস্থিতিতে বিমা আইন ২০১০ এর ধারা ২১ পরিপালনে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইডিআরএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও বিমা খাতে নতুন বা বিমা আইন ২০১০ প্রণয়ের পরে লাইসেন্স প্রাপ্ত বিমা কোম্পানি এবং পুরাতন বা বিমা আইন ১৯৩৮ এর অধীনে লাইসেন্স প্রাপ্ত বিমা কোম্পানির মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য পুরাতন সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে বিমা আইন ২০১০ এর ধারা ২১ যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমআই/ওএফ