তিন দিন সূচকের উত্থান আর দুদিন সামান্য পতনের মধ্য দিয়ে মার্চের শেষ সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার।

আলোচিত সপ্তাহে সূচক, লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার কোটি টাকা।

আলোচিত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পাঁচ কর্মদিবস (২৭ থেকে ৩১মার্চ) লেনদেন হয়েছে। এ পাঁচ কর্মদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৯টির, কমেছে ১৭০টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

অধিকাংশ শেয়ারের দাম বাড়ায় গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৯৭ পয়েন্টে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে। প্রধান সূচক বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। 

গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ২৭ মার্চ লেনদেন শুরুর দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ৩১ মার্চ লেনদেন শেষে বাজারে মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা।

অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। তবে আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছিল ২ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা টাকা। আগের সপ্তাহের লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৯০১ কোটি ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭ টাকা। 

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১৯৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৬  পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে। 

সিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২২১কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকার। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল
১৩৩ কোটি ৭৪ লাখ ১ হাজার ৮০ টাকার।

এমআই/এসএম