পুঁজিবাজারে বিদ্যমান আস্থা ও তারল্য সংকট কাটাতে সরকারি চার ব্যাংককে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ব্যাংকগুলো হচ্ছে; অগ্রণী, সোনালী, রূপালী এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেড।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বিএসইসির ডেপুটি ডিরেক্টর মোহাম্মদ ওয়ারিসুল হানাফ রিফাত।

চিঠিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি ১৮ এপ্রিল ২০২২ সাল পর্যন্ত কি পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে তার তালিকা কমিশনকে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আধিপত্য বেশি, যা মোট বিনিয়োগকারীর ৮০ শতাংশ। দেশের পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা বাড়াতে লেনদেনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আধিপত্য থাকবে এটি প্রত্যাশিত। এ প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে এবং এ বিনিয়োগকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে ভূমিকা রাখবে এবং তাদের ব্যবসায়িক ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা।

বিশেষ তহবিল ছাড়াও ব্যাংক কোম্পানি আইনানুসারে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। এক্ষেত্রে মূলধনের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও সংরক্ষিত আয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে এখনো অনেক ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। এই সময়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশ কিছু ব্যাংক এরই মধ্যে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করেছে এবং যাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ মূলধনের ২৫ শতাংশে কম রয়েছে। তাদের বিনিয়োগের করতে পারে।

এ অবস্থায় সরকারি চার ব্যাংককে নতুন করে ফান্ড গঠন করে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয় বিএসইসির পক্ষ থেকে। প্রত্যাশা করা হয় ব্যাংকগুলো থেকে ভালো সহযোগিতা করা হবে।

এমআই/এসকেডি