ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন স্বর্ণের দুটি কোম্পানির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে সংস্থাটি কোম্পানিগুলোর নাম প‌রিবর্ত‌নের পরামর্শ দিয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে কমিশন থেকে পাঠানো চিঠিতে এসব কথা উল্লেখ করা হয়।

সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন কোম্পানি দুটি হলো- ‘রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি’ ও ‘বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি’।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৬ মে কোম্পানি দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া কমোডিটি ফিউচারে স্বর্ণ ব্যবসা শুরু করার কারণ জানাতে চিঠি দেয় কমিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ মে কমিশনের কাছে লিখিতভাবে জবাব দেয় কোম্পানি দুটি।

কোম্পানি দুটির ওই চিঠির জবাব ‘সন্তোষজনক’ বলে মন্তব্য করেছে বিএসইসি। তাদের স্বর্ণের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে চিঠিতে বিভ্রান্তি দূর করতে প্রতিষ্ঠান দুটির নামের সঙ্গে ‘কমোডিটি এক্সচেঞ্জ’ বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।

প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো ওই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, সাকিবের প্রতিষ্ঠান দুটির নামের সঙ্গে যেহেতু এক্সচেঞ্জ কোম্পানি আছে, সে কারণে কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তাদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। তাদের অনুরোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটির কাছে তাদের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম।

দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ৮ (৪) অনুযায়ী, সদস্যভুক্ত কোনো ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোনো সিকিউরিটিজের জন্য ব্রোকার বা ডিলার হিসেবে কাজ করবে না। ফলে এ পরিস্থিতিতে কমিশনের অনুমোদন ছাড়া বা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য না হয়েও কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, রিলায়েবল কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং পার্টনার রাশেক রহমান একটি  টিভি চ্যানেলে উল্লেখ করেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ও দেশের আইন মেনে এই দুটি প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ ব্যবসা করছে।

তিনি বলেছিলেন, স্বর্ণের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। নামের নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিস অ্যান্ড ফার্মস থেকে। ঢাকা ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন থেকে দুটি ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয়েছে। দুই জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নিয়েই শোরুম করা হয়েছে।

এমআই/এমএইচএস