বছরের পর বছর দাবিহীন পড়ে থাকা কিংবা অমীমাংসিত বোনাস লভ্যাংশের দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। এ লক্ষ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) ২৩তম বোর্ড সভায় অমীমাংসিত নগদ ও স্টক লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তির কার্যকরী নির্দেশিকার (অপারেশনাল গাইডলাইন) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ জুন) সিএমএসএফ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তির কার্যকরী নির্দেশিকা অনুমোদনের বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মতামত ও পুনর্নিরীক্ষণের জন্য গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। কমিশনের অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে অমীমাংসিত স্টক লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তি শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সিএমএসএফের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ও বোর্ড অব গভর্নরের সদস্যরা।

এর আগে, গত ১৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হোটেল পূর্বাণীতে সিএমএসএফ নগদ লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তি শুরু করে। এই ধারাবাহিকতায়, এখন পর্যন্ত ১১৩ জন বিনিয়োগকারীর অমীমাংসিত নগদ লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আরও ২৮ জন বিনিয়োগকারীর অমীমাংসিত নগদ লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিধিমালা অনুসারে, সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ইস্যুকারীর কাছ থেকে অদাবিকৃত ও অবণ্টিত নগদ বা স্টক লভ্যাংশ, অফেরত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ এবং অ-বরাদ্দকৃত রাইট শেয়ার স্থানান্তর করার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে অভিভাবক হিসাবে কাজ করে। তহবিলে জমা করা নগদ বা স্টক যেকোনো সময়ে শেয়ারহোল্ডার বা বিনিয়োগকারীদের দ্বারা যথাযথ দাবির ওপর ভিত্তি করে পরিশোধ বা নিষ্পত্তি করা হবে। সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়, অন্যান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা, বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের ঋণ প্রদান, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ধার দেওয়া, ধার নেওয়া এবং বিনিয়োগকারীদের দাবির নিষ্পত্তির মাধ্যমে বাজারে তারল্য নিশ্চিত করে ও শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

এই ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের মাধ্যমে সিএমএসএফ ২০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার বিনিয়োগ করেছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, সিএমএসএফ ফান্ডে টাকা স্থানান্তর হওয়ার পর যদি কোনো বিনিয়োগকারী তার নগদ লভ্যাংশ দাবি করে, তাহলে এরূপ দাবি গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে ইস্যুয়ার কোম্পানি দাবির সত্যতা যাচাই করে তা সিএমএসএফকে প্রেরণ করবে। অতঃপর সিএমএসএফ পুনরায় যাচাই-বাছাই করে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে দাবিকৃত অর্থ বিনিয়োগকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্টক লভ্যাংশ দাবির ক্ষেত্রে সিএমএসএফ বিও অ্যাকাউন্ট থেকে বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্টে দাবিকৃত শেয়ার পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এমআই/ওএফ