গত বছরের চেয়ে ১৭ কোটি টাকা মুনাফা বেড়েছে সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের। এই মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কোম্পানির পর্ষদ সভায় ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কোম্পানি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানির তথ্য মতে, জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২২ সমাপ্ত বছরের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৮৮ পয়সা। অর্থাৎ সব খরচ বাদে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৯ টাকা। যা আগের বছর থেকে ১৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯০ টাকা বেশি।

সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ নগদ লভ্যাংশ অর্থাৎ ২ টাকা করে মোট ১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার ৩০৬ টাকা দেবে। বাকি টাকা কোম্পানির রিটার্ন অব আর্নিংসে জমা রাখা হবে।

এর আগের বছর ২০২০-২১ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল (ইপিএস) ৩ টাকা ৯৮ পয়সা। তাতে করসহ সব খরচ বাদে কোম্পানির মোট মুনাফা হয়েছিল ৩৭ কোটি ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৭০৮ টাকা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এর আগের বছর ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তবে তার আগের ২০১৮-১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রম অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ নভেম্বর। ওই দিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেলা ১১টায় কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ অক্টোবর।

১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৩টি। আজ বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৭৯ টাকায় ৬০ পয়সা।

এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব সেলিম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যবসা বেড়েছে ২৫ শতাংশ। তবে এ বছর মুনাফা বৃদ্ধির বড় কারণ হলো গুলশানের একটি ভবন ১০৫ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছে। আরেকটি হলো, আমানত থেকে এবার বেশি মুনাফা বেড়েছে। গত বছর যেখান থেকে আয় হয়েছিল ৫ কোটি টাকা। এ বছর আয় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। এই দুই খাতের আয়ের ফলে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। আয় ও মুনাফার বড় একটি অংশ রাজধানীর আফতাব নগরে জমিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমআই/এসকেডি