নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকির অ্যান্ড কো. চার্টার্ড অ্যাকাউন্টসকে অডিট করা সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনও মিউচুয়াল ফান্ড ও কোনও কোম্পানির অডিট করতে পারবে না।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানানো হয়। অপেশাদার আচরণের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯, সেকশন ২০ এ লঙ্ঘন করায় প্রতিষ্ঠানকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকির অ্যান্ড কো. পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ড এবং কোম্পানির কোনও অডিট করতে পারবে না।

বিএসইসির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, পুঁজিবাজারের চারটি মিউচুয়াল ফান্ডের প্রায় ১৫৮ কোটি আত্মসাতের যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে চারটি তহবিলেরই নিরীক্ষার দায়িত্বে ছিল আহমেদ জাকির অ্যান্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।

তহবিলগুলো হলো- ইউএফএস–আইবিবিএল শরিয়া ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস–পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস–পদ্মা লাইফ ইসলামিক ইউনিট ফান্ড ও ইউএফএস–ব্যাংক এশিয়া ইউনিট ফান্ড। এসব ফান্ড বা তহবিলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল ইউনিভার্সেল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনস (ইউএফএস)।

বিএসইসি বলছে, সংস্থাটির প্রাথমিক তদন্তে এসব তহবিলের নিরীক্ষাকালে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকির অ্যান্ড কোম্পানির অপেশাদারিত্বের প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ইউএফএসের ব্যবস্থাপনায় থাকা সব মিউচুয়াল ফান্ডের নিরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের নিরীক্ষা কার্যক্রম থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।

এমআই/এসএম