স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একদিন ছুটি থাকায় মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজার চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দুই কর্মদিবসে উত্থান আর দুই কর্মদিবস দরপতন হয়েছে। এই সময়ে যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ৯৯ হাজার ২২ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।

২৭ মার্চ (সোমবার) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৯ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার ৪৩১ টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ৯৯ হাজার ২২ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মূলধন কমেছিল ৪৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৬০৭ টাকা।

গেল সপ্তাহে মোট চার কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এসময়ে ডিএসইতে মোট ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৪০টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩৭টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৫৮টির, কমেছিল ৬৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৬১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি ২ শতাধিক কোম্পানির। এ কারণে লেনদেন হওয়া বড় বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৭৩৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৯ টাকা। অর্থাৎ ১২২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৬ টাকা লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রয়েল ইউনিক হোটেলের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার, জেনেক্স ইনফোসিস, জেমিনি সি ফুড, টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, এডিএন টেলিকম, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, আরডি ফুড লিমিটেড এবং আমরা নেটওয়ার্কর্স লিমিটেডের শেয়ার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনে ছিল একই চিত্র। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৮৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৬৬ লাখ ৮৩৭ হাজার ১৪০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ৪৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

এমআই/এসএম