দুই শতাংশের বেশি দাম কমানো যাবে না, আবার ১০ শতাংশের বেশি দাম বাড়তেও পারবে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৬ কোম্পানির শেয়ার। ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) প্রত্যাহার হওয়া ৬৬ প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন করে এমন বিধান আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

শনিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর ফলে বৃহস্পতিবার যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫ টাকার বেশি কমেছে, সেগুলোর দাম কমবে না। কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমানো বা বাড়ার সময় সর্বনিম্ন হিসাব হয় ১০ পয়সা করে। ৫ টাকার নিচে যেসব শেয়ারের দাম, সেগুলোর ২ শতাংশ ১০ পয়সার চেয়ে কম।

ফেসবুকে বিভিন্ন সমালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছুটির দিনে অফিস করে নতুন করে সার্কিট ব্রেকারের সীমা আরোপ করল কমিশন।

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই ৬৬ কোম্পানির এই সর্বনিম্ন দাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ফ্লোর প্রাইসের মাধ্যমে বাজার পরিচালনা করায় বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনের (আইওএসসিও) সদস্য ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সেই অবস্থা থেকে উত্তোলনের জন্য ৬৬ কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু করোনার এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এসব কোম্পানির শেয়ার দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে। আর সর্বনিম্ন ২ শতাংশ দাম কমানোর নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

এমআই/ওএফ