সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১১ এপ্রিল) বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন ব্যাংক, বিমা, ওষুধ ও রসায়ন এবং আর্থিকসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে ৯০ পয়েন্ট কমেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ২২৪ পয়েন্ট। পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ডিএসইতে সূচক কমেছিল ৮২ পয়েন্ট। সিএসইতে কমে ২১৩ পয়েন্ট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন দিচ্ছে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছে, এই দুই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাজারে বড় দরপতন হয়েছে।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৯০ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৩৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫৬ কোটি ৫৫ লাখ ৩ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৭২ কোটি ৮১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ২৬৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৫২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো- ইবিএল, হাওয়ায়েল টেক্সটাইল, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, বিডি ফাইন্যান্স, আইসিবি সোনালী মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রানার অটোমোবাইল, মতিন স্পিনিং, এসকোয়ার নিটিং, লিবরা ইনফিউশন, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স এবং ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ২২৪ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৪৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ১৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

এমআই/জেডএস