সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২১ এপ্রিল) দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এদিন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ওষুধসহ বেশিরভাগ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। তবে বিমা খাতে ছিল বিপরীত চিত্র। মূল্য সংশোধনের এই দিনে কেবল তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রায় সব শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচক পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার। তবে আগের দিনের চেয়ে কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বুধবার বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ২৮টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে দুটির। লেনদেন হয়নি ৩টির।

অন্যদিকে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর অপরিবর্তীত রয়েছে। তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র সাতটির, কমেছে ১১টির, আর অপরিবর্তীত ছিল ১৩টির।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রতিদিন দর বাড়লেই কি ভালো। দর বাড়লে শেয়ার বা ইউনিট বিক্রি করে বিনিয়োগকারীরা মুনাফা উত্তোলন করবে, এটাই পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক চিত্র।  

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ০৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৩ পয়েন্টে।

এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১৫৭টির, অপরিবর্তীত রয়েছে ৬৭টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৭৭৬ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। ফলে একদিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৫২৩ কোটি টাকা বা ৬৭ শতাংশ।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, রবি, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, সামিট পাওয়ার এবং অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স।

দেশের অপর পু্ঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭১১ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ৯৬টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে ৪৪টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৩৩ কোটি টাকা।

আরএম/জেডএস