পবিত্র রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে থাকে খেজুর। রমজানের আগে দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও রোজার সপ্তম দিনে এসে কমতে শুরু করেছে খেজুরের দাম।

যদিও তুলনামূলক নিম্ন ও মধ্যম মানের খেজুরের দাম কমেছে। তবে আগের দাম বিক্রি হচ্ছে ভালো মানের খেজুর।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগ, রামপুর ও বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানের ধরন অনুযায়ী খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৬০ টাকা কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে নিম্নমানের (বাংলা) খেজুরের বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। যা রমজানের শুরুতে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি ছিল। দাম কমেছে দাবাস জাতের খেজুরেও। ৩২০-৩৪০ টাকা থেকে কমে এখন ২৫০-২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বড়ই খেজুর ২৩০-২৫০ থেকে কমে ২০০-১৮০ টাকায়, নাগাল খেজুর ২৫০ থেকে কমে ১৮০ টাকায় ও সাফারি খেজুর ৩৬০ টাকা থেকে ৩০০-৩১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আজোয়া ও মরিয়ম ব্রান্ডের দ্বিতীয় সারির খেজুরেও কেজি প্রতি ৪০-৬০ টাকা কমেছে।

বাংলাদেশে দামি খেজুরের মধ্যে আজোয়া, মরিয়াম, সাফওয়ি, সেগাই, বারহি ও মাবরুর খেজুর পাওয়া যায়। এসব ব্রান্ডের ভালো মানের খেজুরের দাম আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। মরিয়ম খেজুর ৬০০-৮০০ টাকা, আজোয়া ৬০০-৮০০ টাকায় ও মাবরুর খেজুর ৮০০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে খেজুর বিক্রেতা ফরিদ বলেন, এ বছর আমদানি বেশি হওয়ার কারণে রমজানের আগেও খেজুরের দাম খুব বেশি ছিল না। রমজানের শুরুতে চাহিদা বেশি থাকার কারণে খেজুরের একটু বৃদ্ধি পেলেও এখন আবার কমছে। যদিও ৫০০ টাকার ওপরে থাকা খেজুরের দাম আগের মতো আছে। রমজান ছাড়াও সারা বছর এগুলোর দাম প্রায়ই একই থাকে। আসলে দাম কম-বেশি হয় মূলত নিম্ন-মধ্যম মানের খেজুরে।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খেজুর উৎপাদন হয় মিসরে। এরপর আছে সৌদি আরব, ইরান, আলজেরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান, সুদান, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তিউনিশিয়া। এর মধ্যে কম দামি খেজুর আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত অর্থাৎ দুবাই থেকে। এছাড়াও তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, পাকিস্তান, ইরান থেকে কম দামি খেজুর আসে বাংলাদেশে।

আরএম/ওএফ