সূচকের বড় উত্থানে শেষ হয়েছে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবারের (১১ মে) লেনদেন। এদিন ব্যাংক, বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে।

তাতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার পাশাপাশি সূচক ও লেনদেনের বড় উত্থান হয়েছে। এদিন ব্যাংক খাতের দুটি শেয়ারে বিক্রেতা শূন্য হয়ে যায়। একই চিত্র ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানির শেয়ারে।

ফলে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৭৮ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ২৩৫ পয়েন্ট।

ডিএসইর তথ্যমতে, মঙ্গলবার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৭৮ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ১০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৭১ পয়েন্টে এবং বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৯৪ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৮টির, কমেছে ৭১টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৩টির। মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪০৩ কোটি ৩৫ লাখ ৭ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৩৫২ কোটি তিন লাখ ৯৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্যাক ব্যাংকের শেয়ার, তারপর ন্যাশনাল ফিড মিলস, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, রবি আজিয়াটা, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স এবং সিটি ব্যাংক লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৩৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৬৬ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টির, কমেছে ৬৫টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৫৩ কোটি ৬২লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

এমআই/জেডএস