শেয়ারহোল্ডারদের সমাপ্ত বছরে তার আগের বছরের চেয়ে অর্ধেক কম মুনাফা দেবে পুঁজিবাজারের ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। গত ৩০ জুন ২০২০ সালে কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইর তথ্য মতে, প্রতিষ্ঠানটি ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ জুন।

এ বিষয়ে কোম্পানিটির সচিব মোহাম্মদ আমির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার বছরের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ১৫ শতাংশ (অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা) লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ২৪ লাখ শেয়ারহোল্ডারদের ৩৬ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এর আগের বছর ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল (অর্থাৎ ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা করে লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল)। তখন ২৪ লাখ শেয়ারহোল্ডার মোট ৭২ লাখ টাকার লভ্যাংশ পেয়েছিলেন।

লভ্যাংশ কমার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনার কারণে ব্যবসা কম হয়েছে। এ কারণে মুনাফাও কমেছে।

১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে কোম্পানির ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১৮ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে চার শতাংশ।

কোম্পানির তথ্য মতে, ২০১৯-২০২০ সালে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫২ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। তার মধ্য থেকে ৩৬ লাখ টাকার মুনাফা দিয়েছে শেয়ারহোল্ডারদের। তাতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ১০ পয়সা।

এদিকে লভ্যাংশ ঘোষণার দিন মঙ্গলবার ৪১৪ টাকা দরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু প্রথম লেনদেন হয়েছে ৪০৭ টাকা দরে।

এমআই/এমএইচএস