মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসির শেয়ারদর কারসাজির দায়ে দুই ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন বিভাগ গত মাসে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।

বিএসইসির তথ্যানুসারে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন-সংক্রান্ত কার্যক্রম তদন্ত করে। তদন্তে দেখা যায়, ওই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা, যা ২৩ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ টাকা ৬০ পয়সায়। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ টাকা ২০ পয়সা বা ১২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, উল্লিখিত সময়ে কুয়েস্ট এশিয়া ওভারসিজ, প্রতিষ্ঠানটির মালিক আনিছুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাহার-ই-জান্নাত মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন। তাদের অতিরিক্ত লেনদেনের কারণে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি হয় ও শেয়ারদর বাড়তে থাকে, যা সিকিউরিটিজ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েস্ট এশিয়া ওভারসিজকে ৩ কোটি ৭০ লাখ, আনিছুল ইসলামকে ৮০ লাখ এবং নাহার-ই-জান্নাতকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে কমিশন। 

বিএসইসি জানিয়েছে, উল্লেখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেননেদ চিত্র বিশ্লেষণে তাদের কর্মকাণ্ড সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৯৬ এর সেকশন ১৭ (ই) (ভি) অনুযায়ী সিকিউরিজি আইনের লঙ্ঘন এবং একই অর্ডিনেন্সের সেকশন ২২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই, কমিশন উল্লেখিত অর্ডিনেন্সের ক্ষমতাবলে তাদের অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে।

আদেশে বলা হয়, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানার অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে কমিশনের অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। অন্যথায় কমিশন সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী তাদের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এমএমএইচ/এমএসএ