ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড ব্যবস্থাপনায় ‘বোর্ড অব গভর্নেন্স’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (৭ জুলাই) বিএসইসির ৭৮১তম সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির কাছে পড়ে থাকা বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশের অর্থ ব্যবহারের জন্য গঠন করা হয়েছে মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডটি।

ফান্ডটিতে বিনিয়োগকারীদের সব টাকা জমা রাখার জন্য মঙ্গলবার (৬ জুলাই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকে চিঠি দেন বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।

গত ৩০ জুন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠন সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করার হয়। ওই বিধিমালা অনুযায়ী, এ তহবিল ব্যবস্থাপনায় ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নেন্স থাকবে। যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান ও তিন সদস্য থাকবেন, যাদের মনোনীত করবে বিএসইসি। এছাড়াও বোর্ড অব গভর্নেন্সে বিএসইসি থেকে ৪ জন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) থেকে একজন করে মনোনীত সদস্য থাকবেন। একজন প্রফেশনাল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বা কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট বা চার্টার্ড সেক্রেটারি বা চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট এবং একজন চিফ অব অপারেশন (সিওও) থাকবেন।

গেজেট প্রকাশের আগেই ফান্ডটির নামে কমিউনিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটিতে অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ পাঠাতে বলা হয়েছে। ফান্ডটিতে ২০ হাজার কোটি টাকার জমা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে দুই শতাধিক কোম্পানির কাছে অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে তিন বছর বা তারও আগের বছরগুলোর পড়ে থাকা অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অবণ্টিত মুনাফা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাংক হিসাবে আনা হলেও যেকোনো সময় কোনো বিনিয়োগকারী তার প্রাপ্য লভ্যাংশ দাবি করতে পারবেন। যাচাই শেষে সর্বোচ্চ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিনিয়োগকারীকে তার লভ্যাংশ ফেরত দেওয়া হবে।

এমআই/এসকেডি