নতুন প্রজন্মের বিমা কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি আইপিওতে আসার শর্তপূরণ না করায় কোম্পানটির আবেদন বাতিল করেছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বুধবার (১৪ জুলাই) ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোম্পানির আইপিওতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক যাচাইয়ে দেখা গেছে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) নেগেটিভ। আর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যও (এনএভি) ফেসভ্যালুরে নিচে। তাই আইপিওর আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিল কোম্পানিট। বর্তমানে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বিএসইসির তথ্য মতে, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২০১৬ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৯ পয়সা, পরের বছর ২০১৭ সালে লোকসান হয়েছে ৩৫ পয়সা। ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৮ পয়সা এবং পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে লোকসান দাঁড়িয়েছে ২০ পয়সা।

নিয়ম অনুসারে কোনো কোম্পানিকে আইপিওতে আসতে হলে টানা তিন বছর মুনাফায় থাকতে হয়। অথচ বিমা কোম্পানিটি সর্বশেষ ৪ বছর লোকসানে রয়েছে। শুধু তাই নয় কোম্পানির এনএভি ফেসভ্যালুর অর্থাৎ ১০ টাকার নিচে অবস্থান করছে।

এসব কারণে প্রাথমিকভাবেই কোম্পানিটি পাবলিক ইস্যু রুল ২০১৫ এর ৩ ধারার(২) (কে) অনুযায়ী আইপিওতে আসার যোগ্যতা হারিয়েছে। তাই কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল করেছে বিএসইসি।

এমআই/জেডএস