তালিকাভুক্তির তিন বছর পর উৎপাদনসহ সব কার্যক্রম বন্ধ থাকা নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১১ আগস্ট) পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৮৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটারের কারখানা ও করপোরেট অফিস পরিদর্শনে গিয়ে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধি দল দেখেন, কোম্পানির উৎপাদন ও অন্যান্য কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করা অন্যান্য তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় গত বছরগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের সঙ্গে বাস্তব কার্যক্রমের সামঞ্জস্য পর্যালোচনাপূর্বক সংশ্লিষ্ট বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

২০১৭ সালে কোম্পানিটিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছিলেন অধ্যাপক খায়রুল হোসেনের কমিশন। ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা বলে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৪৩ কোটি টাকা উত্তোলন করে নেয় নূরানী ডাইং। কোম্পানিটি উৎপাদন বন্ধ কিংবা কারখানা বন্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশ করেনি। যা পুঁজিবাজারের আইন লঙ্ঘন ও বড় ধরনের অপরাধ।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, নূরানী ডাইংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এসকে নুরুল আলম। তার মৃত্যুর পর থেকেই কোম্পানির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ফলে তালিকাভুক্ত হওয়ার তিন বছরের মধ্যেই লাভে থাকা কোম্পানিটি লোকসানে পড়ে। ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৫ পয়সা। সোমবার (৯ আগস্ট) সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ২০ পয়সায়। এর আগের দিন ছিল ১০টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ একদিনে শেয়ারের দাম বাড়ে ১ টাকা বা ৯.৮০ শতাংশ।

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৩০টি। যার বাজারমূল্য ১৩৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫১ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার।

এমআই/এসকেডি