বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস (জুলাই) শেষ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

ঋণাত্মক ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও শুল্ক বিভাগ মিলিয়ে ঘাটতি ৭ হাজার ২২৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে সৃষ্ট কঠোর বিধিনিষেধের নেতিবাচক প্রভাবে এমন ঘাটতির মুখোমুখি প্রতিষ্ঠানটি।

এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে পাওয়া সাময়িক হিসাব থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

এনবিআরের সর্বশেষ সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ম মাসে (জুলাই) আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক খাতে প্রতিষ্ঠানটির আদায় যথাক্রমে ৪ হাজার ৭৩২ কোটি ৯ লাখ, ৪ হাজার ২৩২ কোটি ৮০ লাখ এবং ৪ হাজার ৮৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যেখানে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক খাতে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯২৫ কোটি ৪০ লাখ, ভ্যাট থেকে ৭ হাজার ৬৮০ কোটি এবং শুল্ক খাত থেকে ৭ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা।

জুলাই মাসের ২১ হাজার ৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৩ হাজার ৮৩৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ঘাটতি ৭ হাজার ২২৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একমাত্র আয়কর বিভাগে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হলেও (১৪.৯০ শতাংশ) ভ্যাট ও শুল্ক খাতে বড় ধরনের ঘাটতিতে পড়েছে এনবিআর। ভ্যাট ও শুল্ক খাতে আদায়ের অগ্রগতি গত ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ঋণাত্মক ৩৪.৬৫ ও ২.৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। ঘাটতি যথাক্রমে তিন হাজার ৪৪৫ কোটি ২০ লাখ ও ২ হাজার ৫৮৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

এর আগে ৪১ হাজার ১১৮ কোটি ২০ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরও বছর শেষ করেছিল এনবিআর। আর ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা।

আরএম/জেডএস