দুই দফা সময় বৃদ্ধির পরও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) সুকুক বন্ডে আবেদন করেছেন ৮২ যোগ্য বিনিয়োগকারী। টাকার অংকে তাদের আবেদনের অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৬৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। যা শতাংশের হিসেবে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৮৬ শতাংশ। অর্থাৎ প্রত্যাশা অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির আইপিওর সাবস্ক্রিপশনে বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্যমতে, বেক্সিমকোর ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ডের মধ্যে পাবলিক অফারে ৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য গত ১৬ আগস্ট আইপিওতে আবেদন শুরু করে। সেই আবেদনের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ২৩ আগস্ট বেলা ৫টায়। কিন্তু সেই সময়ে মাত্র ৫০ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের। এরপর নতুন করে আরও ১০ কার্যদিবস আইপিওর সাবস্ক্রিপশনের সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু সেই সময়ে প্রত্যাশা অনুসারে আবেদন জমা পড়েনি।

ফলে ২য় দফায় আইপিওতে আবেদন জন্য সময় আরও ২৪ দিন বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত করা হয়। আজ সেই দিন শেষে ৮২ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী ৭৫০ কোটি টাকার বিপরীতে ৬০ কোটি ৬৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার কেনার জন্য আবেদন জমা দেয়। যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম।

এদিকে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মতোই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে বলে ধারণা করছে ডিএসই ও বিএসইসি কর্তৃপক্ষ। তবে সুকুক বন্ডের আইপিওতে কতজন সাধারণ বিনিয়োগকারী কত টাকার শেয়ারের জন্য আবেদন করছেন তা এখনও জানা যায়নি। নিয়ম অনুসারে, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে যোগ্য ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মোট আবেদনের পরিমাণ জানা যাবে।

নিয়ম অনুসারে এ পাবলিক অফারটিতে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ আবেদন জমা পড়তে হবে। যদি প্রত্যাশা অনুসারে সুকুকে আবেদন না জমা পড়ে তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সভায় এ বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানোর চিঠিতে লিখেছিলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডেবট সিকিউরিটিজ রুলসের ১২(২) অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আবেদন জমা না পড়লে, পাবলিক অফারটি বাতিল করা হবে।

ডেবট সিকিউরিটিজ রুলসের ১২(২) ধারায় বলা হয়েছে, পাবলিক অফারের যেকোনো সিকিউরিটিজে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ আবেদন জমা পড়তে হবে। এছাড়া আন্ডাররাইটারের (অবলেখক) ২০ শতাংশ আবেদনের পরেও যদি ৫০ শতাংশের কম হয়, তাহলে ইস্যুটি বাতিল হবে।

এমআই/এসএসএইচ