শেষ দেড় ঘণ্টার শেয়ার বিক্রির চাপে টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর সোমবার (৪ অক্টোবর) পুঁজিবাজারে সূচক পতন হয়েছে। বেশিরভাগ শেয়ার ও সূচক পতন হলেও বেড়েছে লেনদেন।

ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম কমায় এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২৮ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ৩৭ পয়েন্ট।

ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার ডিএসইতে ৩৭৬টি কোম্পানির ৫৭ কোটি ৮৯ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৯টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৯৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।

দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৫৫ কোটি ২০ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।

ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল লর্ফাজহোলসিমের শেয়ার, তৃতীয় স্থানে ছিল ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ইফাদ অটোস, জিপিএস ইস্পাত, শাইনপুকুর সিরামিক এবং পাওয়ার গ্রিড লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৭ পয়েন্ট কমে ২১ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৬টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১১৫ কোটি ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ১১৭ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৯ কোটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮৯ টাকা।

এমআই/জেডএস