মার্জিন ঋণ প্রদানের সুবিধা বাড়ানোকে কেন্দ্র করে ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১১৫ পয়েন্ট। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৩১৫ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও লেনদেন। এর ফলে রোববার দরপতনের পর সোম ও মঙ্গলবার টানা দুদিন উত্থান হলো।

মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের ৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম। বিমা খাতের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ২১৯টির, কমেছে ১৩০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ১১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩১ পয়েন্ট বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৮৫ লাখ ৫ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪২১ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো, আইএফআইসি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, জেনেক্স ইনফোসিস, এনআরবিসি ব্যাংক,কাট্টালী টেক্সটাইল এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১৫ পয়েন্ট বেড়ে ২০ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার ৫৬৮ টাকা।

উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ নভেম্বর) তৃতীয় দফায় আবারও মার্জিন ঋণ প্রদানের সুবিধা বাড়িয়ে নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এবার মূল্যসূচক যতই হোক না কেন, সবক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীদের নিজস্ব ১ টাকার বিপরীতে ৮০ পয়সা বা ৮০ শতাংশ মার্জিনের সুযোগ করে দেয় বিএসইসি।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ৪০ মূল্য-আয় অনুপাতের (পি/ই রেশিও) পর্যন্ত যেকোনো সিকিউরিটিজে ৮০ শতাংশ হারে মার্জিন ঋণ পাওয়া যাবে।

এর আগে গত ১২ আগস্ট ২য় দফার নির্দেশনায়, ডিএসইএক্স সূচক ৮০০০ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের তাদের নিজস্ব বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ গ্রহণের রেশিও ১:০.৮০ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে ৮ হাজার পর্যন্ত ডিএসইএক্স সূচকে মার্জিন ঋণ রেশিও ১:০.৫০ থেকে বাড়িয়ে ১:০.৮০ করা হয়েছিল। আর ডিএসইএক্স ৮ হাজার এর উপরের ক্ষেত্রে বা বেশি সূচকের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ রেশিও ১:০.৫০ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

নির্দেশনায় সূচকের সবক্ষেত্রেই মার্জিন রেশিও ৮০শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ সূচক ৮ হাজার পার হলেও ৮০শতাংশ পাওয়া যাবে।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও ১:০.৫০ থেকে বাড়িয়ে ১:০.৮০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। যে নির্দেশনা ডিএসইএক্স ৭০০০ পর্যন্ত কার্যকর ছিল।

সর্বপ্রথম গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সূচকের সঙ্গে সমন্বয় করে মার্জিন ঋণের নির্দেশনা জারি করে শিবলী কমিশন। যার আগে সবক্ষেত্রেই মার্জিন রেশিও ১ টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা বা ১:০.৫০ ছিল।

এমআই/এসকেডি