ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের অনুমতিপ্রাপ্ত সাড়ে চার শতাধিক ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে লেনদেন বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ দেওয়া এমন ১১৬টি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের নেগেটিভ ইকুইটি রয়েছে ৮ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।

এরমধ্যে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের নেগেটিভ ইকুইটি সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই ২৭টি প্রতিষ্ঠানের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) পাঠানো প্রতিবেদনে এই চিত্র দেখা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক বছর, দুই বছর নয়; ২০১০ সালের মহাধসের পর থেকে একযুগ ধরে এই প্রতিষ্ঠানগুলো নেগেটিভ ইকুইটিতে রয়েছে। যা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক লেনদেনের বৃদ্ধির শক্তিকে কমিয়ে দিয়েছে। বাজারের লেনদেন বাড়াতে এসব প্রতিষ্ঠানের নেগেটিভ ইকুইটি কমাতে হবে। বিএসইসি এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নেগেটিভ ইকুইটি শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার নির্দেশনা দিয়েছে।

বিএসইসির তথ্য মতে, বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ দিয়ে নেগেটিভ ইকুইটিতে আক্রান্ত ১১৬টি প্রতিষ্ঠানের ২৯টি মার্চেন্ট ব্যাংকের নেগেটিভ ইকুইটির পরিমাণ ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। আর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ৮৭টি ব্রোকার হাউজের ৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা নেগেটিভ ইকুইটি রয়েছে। তার মধ্যে ডিএসইর ৭৫ ব্রোকারেজ হাউজের ৪ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা ও সিএসইর ১২ ব্রোকারেজ হাউজের ৯৮ কোটি টাকা নেগেটিভ ইকুইটি রয়েছে।

নেগেটিভ ইকুইটি কী?

একজন বিনিয়োগকারী ধরা যাক একশ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি ব্রোকার হাউজ কিংবা মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে এই একশ টাকার উপরে আরও একশ টাকা মার্জিন ঋণ নিয়েছেন। এই টাকা ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছেন। এরপরই পুঁজিবাজারে ধস হয়। এরপর বিনিয়োগকারীর মূল একশ টাকার শেয়ারের দাম ৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে ব্রোকার হাউজের নেগেটিভ ইকুইটি হলো ৫০ টাকা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১০ সালে মিডিয়া ও বিএসইসির চাপে ফোর্সড সেল করতে না পারায় আজ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজগুলোতে নেগেটিভ ইকুইটির সৃষ্টি হয়েছে। সেই সময়ে ফোর্সড সেল করার সুযোগ দিলে এখন বাজারের অবস্থা আরও ভালো থাকতো।

এমআই/এইচকে