রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১৪তম জাতীয় পর্যায়ের অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা ২০২২। 

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৫ শতাধিক স্কুল থেকে ১ হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আলোহা বাংলাদেশ।

শিশুরা কতো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সমাধানে পৌঁছাতে পারে এটা পরীক্ষার উদ্দেশ্যেই প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমাধান করতে বলা হয় এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই উল্লেখিত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে গাণিতিক সমাধান করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের প্রতিষ্ঠাতা লোহমুনসাঙ, আলোহা ইন্টারন্যাশনাল পরিচালক কিরণ মাতওয়ানি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাইফুল করিম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী এবং পরিচালক মো. শামসুদ্দিন টিপু।

স্বাগত বক্তব্যে আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিক মালয়েশিয়া থেকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে আলোহা বাংলাদেশ। আমরা লক্ষ্য করছি প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য ফলাফল করছে। শুধু তাই নয় আলোহার শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে নানা ধরনের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে এবং বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের প্রতিষ্ঠাতা লোহমুনসাঙ বলেন, আমরা চাই পুরো পৃথিবীজুড়ে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টিশীল বিকাশ ঘটুক। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আলোহা কোয়ালিফাইড শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সার্টিফিকেট দেওয়া, ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত এসব শিক্ষার্থী এ বছর মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের মার্চ থেকে এদেশে কার্যক্রমটি পরিচালনা করছে আলোহা বাংলাদেশ। আলোহা আইএসও সনদ প্রাপ্ত লার্নিং সিস্টেম যা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪২টি দেশের ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করে।

এএজে/আইএসএইচ