এনটিআরসিএ কর্তৃক নিবন্ধিত বেকার শিক্ষকদের নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রাপ্তি শিক্ষক ফোরাম। তারা কোভিড ১৯ বিবেচনায় অবশ্যই কম পক্ষে দুই বছর ব্যাকডেটসহ আগস্টের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানান। 

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রাপ্তি শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, আমরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১ থেক ১৬তম নিবন্ধনের লক্ষাধিক নিবন্ধনধারীরা ব্যাপক কষ্ট ও হতাশার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন। আমরা জানতে পেরেছি প্রায় ৮০ হাজার শূন্য পদ রয়েছে। আমরা ১৬তম নিবন্ধনধারীরা মাত্র সাত দিনের ভাইবা বাকি থাকার কারণে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত হতে পারেনি। তৎকালীন চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গণবিজ্ঞপ্তি দেবেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা এনটিআরসিএর বর্তমান চেয়ারম্যান এনামূল কাদেরের সঙ্গে দেখা করলে ওনারা চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি না দিয়ে বিশেষ একটি গণবিজ্ঞপ্তি দেন। যে পদগুলোতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে কেউ আবেদন করেনি। এনটিআরসিএ এর আগে কখনো এই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দেয়নি। তখন বর্তমান চেয়ারম্যান আমাদের আশ্বস্ত করেন ২০২২ সালের এপ্রিলে গণবিজ্ঞপ্তি দেবেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ওনারা কথা দিয়ে কথা রাখছেন না। 

দেলোয়ার হোসেন নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, কোভিড ১৯ এর কারণে ১৬তম নিবন্ধনের রিটেন রেজাল্ট একবছর পর দেওয়া হয়। যদিও এনটিআরসিএর নীতিমালায় দুই মাসের মধ্যে রিটেন রেজাল্ট দেওয়ার কথা ছিল। ভাইভা পরীক্ষা ৭ মাস ধরে নেওয়া হয় যা অন্যান্য ব্যাচের ক্ষেত্রে দুই মাসের মধ্যে শেষ করা হয়। এদিকে আমাদের ১৬তম নিবন্ধন প্রার্থীদের বয়স প্রত্যেকেরই ৩৫ প্লাস হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে তাদের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে নিয়োগবঞ্চিত বেকার নিবন্ধিত শিক্ষকরা চরম হতাশা ও দুশ্চিন্তায় জীবন অতিবাহিত করছে। 

বক্তারা বলেন, ১৬তম নিবন্ধনধারীরা এ পর্যন্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তিও পায়নি। কোভিড ১৯ বিবেচনায় অবশ্যই কমপক্ষে দুই বছর ব্যাকডেটসহ আগস্টের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিত হবে। শিক্ষক নিয়োগের সংকট দূরীকরণ ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

আইবি/এসকেডি