ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী বহনকারী মৈত্রী বাস দুর্ঘটনায় চালকসহ ৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল মহিমা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরিফুর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিশির চন্দ্র দাস, চাইনিজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের মাহবুব আলম, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের আমির হোসেন ও বাসচালক মো. ইউনুস।

জানা যায়, মৈত্রী রুটের বাসটির চাকা চলন্ত অবস্থায় পাংচার হয়ে ডান দিকে হেলে রাস্তার ডিভাইডারের উপরে উঠে যায়। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাসটির চালক ইউনুস সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয়।

ঘটনার সময় বাসে অবস্থান করা আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মৈত্রী রুটের লাল বাসের চাকা পাংচার হয়ে বাস আইল্যান্ডের উপর উঠে যায়। এতে চালকসহ আমাদের একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। চালক বলছিলেন চাকা মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও বারবার আবেদন করেও নতুন চাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নিম্নমানের চাকা ব্যবহারের ফলে আজকের এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বাসচালক ইউনুস বলেন, চাকার এমন অবস্থার কথা আমি জানিয়েছিলাম। আজ সেটা লাগানোরও কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই ঘটনা ঘটে গেল। আমি নিজেও আহত হয়েছি। ইবনে সিনা থেকে এক্সরে করেছি।

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ম্যানেজার কামরুল হাসান বলেন, নতুন চাকার জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু আমরা দেইনি বিষয়টি এমন নয়। আবেদন করার পর আমরা সেটি টেকনিক্যাল এক্সপার্টের কাছে পাঠিয়ে দিই। এভাবে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই হয়। এটাও তেমনি অনুমোদন হয়েছে শুধুমাত্র লাগানো বাকি ছিল, কিন্তু তার আগেই এ ঘটনা ঘটে গেল। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। একজন শিক্ষার্থী এবং চালক হাতে ব্যথা পেয়েছে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। কেন দুর্ঘটনা ঘটল সেটা তদন্ত করা হবে।

এইচআর/জেডএস