এইউএপির সাধারণ সম্মেলন উদ্বোধন
সারাবিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা নেতাদের অন্যতম শীর্ষ সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ অব এশিয়া প্যাসিফিকের (এইউএপি) ১৫তম সাধারণ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়েছে। সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বের ১০টি দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, উপাচার্য, উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অফিসার ও শিক্ষাবিদসহ ৬০ এর বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুর উৎসব হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিজ্ঞাপন
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আহ্বানে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে তথ্যপ্রযুক্তি এবং গুণগত শিক্ষার মধ্যে সমন্বয়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এইউএপির সম্মেলনে বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের শিক্ষা নেতাদের সমাগম ঘটেছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টসের (আইইউএপি) সভাপতি ড. ফার্নান্দো লিয়েন গ্রেসিয়া। বক্তব্য রাখেন এইউএপির সভাপতি ড. পিটার পি লওরেল, ভারতের কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতীয় লোকসভার সদস্য প্রফেসর ড. অচূৎ সামন্ত, এইউএপির প্রথম সহ-সভাপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান ও এইউএপির মহাসচিব প্রফেসর ড. রিকার্ডো পি পামা।
এইউএপি ১৯৯৫ সালে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ৫১টি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করে যাত্রা শুরু করে। এইউএপির লক্ষ্য হলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি আধুনিক ও কার্যকরী মঞ্চ তৈরি করা।
বিজ্ঞাপন
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আরও ২০জন বিশিষ্ট শিক্ষা নেতার সমন্বয়ে সংস্থাটির উপদেষ্টা পরিষদ গঠন হয়। সভাপতি হিসেবে ফিলিপাইনের ড. পিটার পি লরেলের নেতৃত্বে ১০জন সদস্যের একটি কার্যকরী কমিটি গঠন হয়। বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এই কমিটির প্রথম সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এইউএপি তিন সদস্যের সচিবালয় ও পাঁচটি সাব কমিটি গঠনের মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সংস্থাটি বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় পাঁচটি বিশেষ দিকের ওপর দৃষ্টিপাত করে। সেগুলো হলো-ডিজিটাল রুপান্তর, গবেষণা ও উদ্ভাবন, গুণমান নিশ্চিতকরণ এবং যোগাযোগ ও দেশ অধ্যায়ের ওপর আলোকপাত। সংস্থাটির নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি প্রকাশনা, শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক অলিম্পিয়াড, গবেষণা তহবিল ও বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
এমএম/কেএ