বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগে পূর্বের নিয়ম বহালসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে টানা ১৫ দিন অবস্থান কর্মসূচির পর আজ থেকে আন্দোলনে সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করেছে নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীরা। স্থগিত থাকাকালীন সপ্তাহে দুই দিন কর্মসূচি থাকবে বলে জানান তারা। তবে দাবি না মানা হলে সামনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।

রোববার (২০ নভেম্বর) নন-ক্যাডার প্রার্থীদের ১৫তম দিনের অবস্থান কর্মসূচি শেষে আন্দোলন সাময়িক স্থগিতের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক চাকরিপ্রত্যাশী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকরিপ্রত্যাশী ঢাকা পোস্টকে জানান, আন্দোলন থামিয়ে দিতে আমাদের মামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যা খুবই উদ্বেগের। তবে আমাদের দাবি না মানা হলে কোনো মামলার ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। আমাদের বোনদের অশ্রু আর আমাদের ঘাম রক্ত বৃথা যেতে পারে না। আশা করছি পিএসসি খুব দ্রুত বেকারবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, নন-ক্যাডার প্রার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পিএসসি যদি বেকারবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয় এবং যথেষ্ট পদ থাকা সত্ত্বেও ৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারের সব প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া না হয় তবে আরও জোরালো আন্দোলনের ডাক দেবে বিসিএসের নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশী চাকুরিপ্রার্থীরা। প্রার্থীদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পিএসসিকে কিছুটা সময় দেওয়ার জন্য আপাতত অবস্থান কর্মসূচির স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিন বেলা ১১টা থেকে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী নিয়ে মিছিল করে পিএসসির সামনে এসে অবস্থান নিয়ে নানাবিধ সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মাধ্যমে পিএসসির অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় প্রার্থীরা। তবে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির আজ ১৫তম দিন হলেও পিএসসিতে নন-ক্যাডার সংক্রান্ত সভা থেকে আজও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পায়নি প্রার্থীরা।

এদিকে অফিস শেষে পিএসসির চেয়ারম্যান বের হওয়ার সময় প্রার্থীরা আজও স্লোগানে স্লোগানে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন তবুও যথারীতি তিনি কোনো কর্ণপাত না করে পুলিশ প্রটেকশনে বের হয়ে যান। যা সত্যিই হতাশাজনক বলে জানান প্রার্থীরা।

দাবি আদায়ে এর আগে দুর্নীতিবিরোধী শপথ পাঠ, আলপনা অঙ্কন, মোমবাতি প্রজ্বলন, রশিতে মুলা ঝোলানো, পিএসসির সামনে পরিষ্কার অভিযান ও সাদা মুখোশ পরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

এমএম/এমএ