জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থেই একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। সে কারণেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্যপাঠ্য করা হয়েছে। আমরা একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি।’

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

উপাচার্য বলেন, ‘মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে ১২টি পিজিডি কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি ১৯টি শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অনার্স ১ম বর্ষে আইসিটি এবং তৃতীয় বর্ষে সফট স্কিল অবশ্যপাঠ্য হিসেবে চালু হবে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের চিন্তার জগতে, মননে, মানসে নতুন সমাজের স্বপ্ন বুনে দিতে চাই। যে ৩০ লক্ষ মানুষ লাফিয়ে লাফিয়ে প্রাণ দিয়ে লাল-সবুজের পতাকা আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন। যে দুই লাখ মা-বোন নির্যাতন সয়ে লাল-সবুজের পতাকা দিয়ে গেছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আগামীর প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজ্ঞানমনস্কতার সমন্বয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মনিষ্ঠ হোক। আমরা এ সমাজকে বদলে দিতে চাই। আসুন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক বাংলাদেশ পরিবর্তনের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ হোক আমাদের অঙ্গীকার- আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলবো যেন বিশ্ব দরবারে তারা গর্বিত বাঙালি হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যেমন সামরিক শাসনের যাঁতাকলে ছিল। ঠিক তেমনি শিক্ষাব্যবস্থায়ও নাজুক পরিস্থিতি ছিল। গোটা জাতিকে ভুল ইতিহাসের মধ্যে নিমজ্জিত করা হয়েছিল। সেটির বিপরীতে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট চালু করা হয়। বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলার পবিত্র দায়িত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এর নবসৃষ্টি, নবধারাকে আমরা এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে প্রকৃত অর্থেই মুক্তিযোদ্ধারা প্রশান্তি পাবে। প্রতিটি সন্তানকে দেশপ্রেমিক সুনাগরিক, সৃজনশীল, বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের প্রজন্ম এমনভাবে গড়ে উঠবে, তারা যেন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যোগ্য প্রতিনিধি হয়।’

এমএম/এফকে