চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সারাদেশে একযোগে নিয়োগ পরীক্ষার পরিবর্তে আট বিভাগকে চার ভাগে বিভক্ত করে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি বলেন, নিয়োগে যেহেতু সময়ক্ষেপণ হয় সেহেতু আমরা বিভাগওয়ারী ক্লাস্টার পদ্ধতিতে আগাচ্ছি। এ পদ্ধতিতে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। আমাদের প্ল্যান নিয়ে বুয়েটের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। একসাথে একটি বা দুইটি বিভাগ ক্লাস্টার করলে বুয়েট ছয় মাসের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে। যে বিভাগে শূন্যপদ বেশি থাকবে সে বিভাগে আগে ক্লাস্টার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত শিক্ষক পদ শূন্য হচ্ছে। শূন্যপদ পূরণে প্রতিবছর অন্তত দুটি করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। একসঙ্গে অনেক শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে না। বিভাগভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যেসব বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, তাতে শুধু সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২৮ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মার্চের দিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের সব কাজ মোটামুটি প্রস্তুত হয়ে গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে এ বিষয়ে কথাও হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ২৮ তারিখেই বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবো।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে একযোগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করতে গেলে অনেক সময় প্রয়োজন হয়। বিলম্বের কারণে অনেক প্রার্থী আবেদন করেও পরীক্ষায় অংশ নেন না। অনেক বিদ্যালয়ে শূন্যপদ পূরণে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর পরও দীর্ঘসূত্রতার কারণে কোনোভাবে শিশুদের পাঠদান করানো হচ্ছে। আবার একটি নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করতে দুই থেকে তিন বছর লেগে যায়। এজন্য আগের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে সাত হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য। পরবর্তী সময়ে নিয়োগের মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করা হবে।

এমএম/এমজে