ফাইল ছবি

এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার মাধ্যমিক স্তরের ‘ও’ লেভেল এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ (মঙ্গলবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সুরক্ষার লক্ষ্যে এবং এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অনুকূলে না আসায় কোনো পাবলিক পরীক্ষা আপাতত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এদিকে, বর্তমানে কোভিডের কারণে যুক্তরাজ্যে এবং আমাদের প্রতিবেশী অন্যান্য দেশেও কেমব্রিজ পদ্ধতির পরীক্ষা না নেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় এ সময়ে আমাদের দেশেও এই পরীক্ষা নেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। তাই ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠিতব্য কেমব্রিজ পদ্ধতির ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষাগুলো না নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এ পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য অভিভাবকরা পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানালেও তারা এটা কর্ণপাত করছে না। বাধ্য হয়ে কিছু অভিভাবক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। 

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিডরোগী শনাক্ত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয় ২০২০ সালের ১৬ মার্চ। ওই সময় থেকেই দেশে সমস্ত পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। মাঝে সংক্রমণ কমে আসায় আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কিন্তু ইতোমধ্যে সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সেই তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখে দিয়েছে। নতুন করে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের ঊর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করেছে।

তবে ঘোষিত তারিখের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করতে তোড়জোড় চালাচ্ছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী, কিন্ডার গার্টেন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ২ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী টিকা নিয়েছেন। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে সবাইকে টিকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।  

এনএম/এনএফ/এমএমজে