বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ে দেশ-বিদেশে ইউজিসি’র বার্ষিক প্রতিবেদন রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাজেই বার্ষিক প্রতিবেদন নির্ভুল হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর বিষয়ভিত্তিক কতো গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে, গবেষক ও শিক্ষকের প্রকৃত সংখ্যা, মাথাপিছু শিক্ষার্থী ব্যয়ের তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী বিনিময় প্রোগ্রামে তথ্য, বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ইত্যাদি বিষয় যুক্ত করা হবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র‌্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান পাওয়ার জন্য এসব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

রোববার (৭ মে) ইউজিসিতে ইউজিসি’র ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য উপাত্ত চূড়ান্ত করতে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় আয়োজন করা হয়। এতে দেশের ৫৩টি পাবলিক ও দু’টি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাজ্জাদ হোসেন এ বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। 

ইউজিসি’র গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

অনুষ্ঠানে ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের তথ্য প্রযুক্তির সর্বশেষ জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। প্রযুক্তি জ্ঞান থাকলে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনগুলো হবে প্রযুক্তিনির্ভর। প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাবে। এছাড়া ডি-নথি, ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি জানান।

এছাড়া ইউজিসি’র বার্ষিক প্রতিবেদন তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে যথাসময়ে ও নির্ভুলভাবে প্রকাশে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।

ইউজিসি গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বার্ষিক প্রতিবেদন ও তথ্যছক পূরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ইউজিসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ বিশ্বাস।

বার্ষিক প্রতিবেদনে ইউজিসিসহ দেশের ৫৩টি পাবলিক ও ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো সংক্রান্ত তথ্য যুক্ত করা হবে। ইউজিসি আইন ১৯৭৩ অনুসারে ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতনিধি দল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পেশ করে থাকে।

এনএম/জেডএস