নানা জটিলতায় ৯০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন বন্ধ হচ্ছে, ঢাকা পোস্টে এ সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বেতন-ভাতা কার্যক্রমের সার্বিক বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে চার ধরনের তথ্য চেয়েছে ডিপিই। 

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (অর্থ) খালেদ আহমেদের সই করা আদেশে প্রাথমিকের বিভাগীয় উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

অধিদফতরের জারি করা আদেশে বলা হয়, যেসব শিক্ষকের বেতন নির্ধারণ নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে না হয়ে ‘বিদ্যালয়সমুহ’ গ্রুপে এন্ট্রি হয়েছে, সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসের সহায়তায় তাদের তথ্য সংশোধন করে নির্দিষ্ট ‘বিদ্যালয়ভিত্তিক’ এন্ট্রি করতে হবে। 

ইএফটির জন্য যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে

১) এমপ্লয়ি ডাটাবেজে এন্ট্রি করা তথ্য সংশোধনের অপেক্ষমান শিক্ষক তথ্য দ্রুত অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

২) যেসব তথ্য অদ্যাবধি ডাটাবেজে এন্ট্রি হয়নি, সেগুলো সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস দ্রুত এন্ট্রির ব্যবস্থা করবে।

৩) যাদের এন্ট্রি এবং অনুমোদন সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু ইএফটি ট্রান্সমিটের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে, তাদের ইএফটি ট্রান্সমিটের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪) যেসব বিদ্যালয়ের নাম আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি সেসব বিদ্যালয়ের নামের তালিকা গেজেট/প্রজ্ঞাপন/বিজ্ঞপ্তিসহ পাঠাতে হবে। 

এসব নির্দেশনা অব্যর্থভাবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। গত ১৬ মার্চ অর্থ অর্থ মন্ত্রণালয় সমস্যা সমাধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দেয়। চিঠির সুপারিশ অনুযায়ী এ নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

এনএম/আরএইচ