কেন্দ্রের বাইরে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন অভিভাবকরা

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। শুক্রবার (২ এপ্রিল) সারাদেশের ৫৫টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল ১০টায় শুরু হয় এ পরীক্ষা।

করোনা সংক্রমণরোধে প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের  প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রে প্রবেশের কড়াকড়ি থাকলেও বাইরে দেখা গেছে ভিন্নচিত্র।

আরও পড়ুন: মেডিকেলের ভর্তিযুদ্ধ আজ, এক আসনের বিপরীতে ২৮ জন

সরেজমিনে রাজধানীর ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত হচ্ছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পূর্বে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করছেন পরীক্ষার্থীরা। কেন্দ্রে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ ও হাতে স্যানটাইজার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাইরে পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধিও।

অভিভাবকরা বলছেন, কেন্দ্রের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাভ কী? বাইরেই তো বিপুল পরিমাণ মানুষের ভিড়। এখানে করোনা সংক্রমণ হওয়া স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন: আন্দোলনেও পেছাচ্ছে না মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তা অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি এবং কঠোর যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষণ শেষে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের ভেতরে যেন শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সে বিষয়টিও তদারকি করা হচ্ছে। কোনোভাবেই কেউ যেন অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। 

তিল ধারণের ঠাঁই নেই কেন্দ্রের বাইরে

বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যে অবশ্যই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে হবে। নয়তো বড় একটা ঝুঁকি তৈরি হবে। সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে অবশ্যই একাধিক মাস্ক পরতে হবে। 

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ করব। ইতোমধ্যেই আমরা জানিয়ে দিয়েছি, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে মাস্ক পরে কেন্দ্রে আসতে হবে। এক ঘণ্টা পরীক্ষার পুরো সময় মাস্ক পরে থাকতে হবে। মাস্ক পরে আসার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা আছে। তবুও কেউ ভুল করে মাস্ক পরিধান করে না এলে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মাস্ক সরবরাহেরও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আবেদন করেন ১ লাখ ২২ হাজার শিক্ষার্থী। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ১১টা পর্যন্ত। আগের নিয়মেই হচ্ছে এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা।  ১০০ নাম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জিপিএর ১০০ নাম্বারসহ মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে জাতীয় মেধা তালিকা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে মেডিকেল কলেজগুলোয়।

টিআই/আরএইচটি/এসকেডি