কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। ছবি- সংগৃহীত

চলতি বছর এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে ভুল ও কাজে গাফিলতি দায়ে ৬ পরীক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড৷ আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের এ শোকজের জবাব দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৩ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। এতে সই করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কেপায়েত উল্লাহ।

শোকজপত্রে বলা হয়, ২০২৩ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে ভুল, লিথো কোড ছাড়া উত্তরপত্র গ্রহণ, ভুল বৃত্ত ভরাট, প্রাপ্ত নম্বর কম-বেশি হয়েছে। আপনাদের গাফিলতি বা অমনোযোগী হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের ফলাফলে চরম ক্ষতি হয়েছে। একজন পরীক্ষকের ক্ষেত্রে এটি সুস্পষ্ট কর্তব্যে অবহেলার সামিল যা কখনই কাম্য হতে পারেনা।

যাদের শোকজ করা হয়েছে- 
• মোছা. মরিয়ম খাতুন, সিনিয়র শিক্ষক দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাই স্কুল, হাটশ হরিপুর, সদর, কুষ্টিয়া।
• মোছা. কামরুন নাহার, সহকারি শিক্ষক সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাংগা, সদর, চুয়াডাংগা।
• মো. আব্দুল মান্নান, সহকারি শিক্ষক (ভাষা) হেমনগর শশীমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, হেমনগর, গোপালপুর, টাংগাইল।
• সাদ্দাম খন্দকার, ইংরেজী শিক্ষক আব্দুর রহিম টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, সদর, নরসিংদী।
• মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, ট্রেড ইন্সঃ আফিল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাবলা, দৌলতপুর, খুলনা।
• মো. শামসুল আলম ট্রেড ইন্সঃ ধর্মপুর এস আই ডি (ভোক) স্কুল ও কারিগরি কলেজ, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা।

শোকজ পত্রে জানানো হয়, এসব পরীক্ষকরা খাতার ভেতরে নম্বর প্রদান করা আর খাতার প্রাপ্ত নম্বরে যোগফলে ভুল করেছেন। এছাড়া প্রাপ্ত নম্বরের ঘরে ভুল সংখ্যা, অস্পষ্ট নম্বর, ম্যানুয়াল মার্কসিটে কাটা-ঘষা, প্রধান পরীক্ষকের ঘরে নম্বর প্রদান এবং ভুল বৃত্ত ভরাট, ম্যানুয়াল নম্বরপত্রের ঘরে কাটাকাটি, পাশ নম্বরের নিচে আন্ডার লাইন করাসহ বিভিন্ন গাফিলতি করেছেন৷ 

এমএম/এমএসএ