সারাদেশে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করায় দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে জরুরি বৈঠক ডেকেছে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ‘আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। আজ (শনিবার) থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষা পরীক্ষা চলবে নাকি স্থগিত করা হবে ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে বোর্ডের মিডিয়া কমিউনিকেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনে মৌখিক ঘোষণা করা হলেও প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। তারপরও চলমান পরীক্ষাগুলো হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বিকেলে বোর্ডের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বোর্ডের একটি সূত্র বলছে, লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকবে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় রোববার (৪ এপ্রিল) থেকে পরীক্ষা স্থগিত করা হতে পারে।

সরকারের সর্বশেষ ১৮ দফা অনুযায়ী, সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শর্তসাপেক্ষে গত জুলাই থেকে খোলা থাকলেও ২৯ মার্চ থেকে কওমি মাদরাসাও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সরকারের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে কওমি স্তরের সর্বোচ্চ এ পরীক্ষা।

শুক্রবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ‘আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের’ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল। তিনি জানান, শনিবার সারাদেশে ২২২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হয়। সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ পরীক্ষা অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এক দফায় রুটিন পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি।

কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৯ মার্চ করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব স্বাক্ষরিত ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের (১৬) ধারায় বলা হয়েছে ‘সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যেকোনো ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।’ তাই দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষার্থীকে ও পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালনকারী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

এনএম/ওএফ