বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ করিয়ে দেওয়ার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে আর্থিক লেনদেন হচ্ছে বলে খবর পাওয়ার গেছে। তাই মিথ্যা আশ্বাসে আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

বুধবার (৬ এপ্রিল) এনটিআরসিএ-এর চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সবাইকে এ প্রতারক চক্রের থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার ৩০৪টি শিক্ষক পদে নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর থেকে একটি প্রতারণ চক্র শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম অর্থ চাচ্ছে। অনেকেই এ মিথ্যা আশ্বাস বিশ্বাস করে টাকা দিচ্ছেন।

অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে এনটিআরসিএ। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশের মিথ্যা আশ্বাসে কোনো ব্যক্তি বা প্রতারকের সঙ্গে লেনদেন না করতে প্রার্থীদের অনুরোধ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থী নির্বাচন, প্রার্থীর বিপরীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন এবং প্রার্থীদের নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদায়নসহ সব কার্যক্রম নির্ধারিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সম্পাদন করা হবে। অসাধু ব্যক্তি বা চক্রের পক্ষে কোনো প্রার্থীর অনুকূলে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। কোনো ব্যক্তি বা প্রতারকের মিথ্যা আশ্বাসে আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে) মোট ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে সম্প্রতি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। 

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তি বা চক্র নিজেদের হীন স্বার্থসিদ্ধির জন্য এনটিআরসিএ-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম ব্যবহার করে নিয়োগ দিতে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের সংখ্যা সংশোধনের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শূন্যপদ সংশোধনের নির্ধারিত সময় ১৪ মার্চ শেষ হয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে শূন্যপদ সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।

এনএম/এফআর