বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১৭ দিনে এ পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৭০ হাজার আবেদন এসেছে। এ বাবদ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় করেছে। আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।

বেসরকারি স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছে এনটিআরসিএ। শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ৩০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ৪ এপ্রিল থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

এনটিআরসিএ থেকে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশ ৩৪ লাখ ৭০ হাজার নিবন্ধিত চাকরিপ্রত্যাশীর আবেদন জমা হয়েছে। অনেকে নিয়োগ নিশ্চিত করতে ৫০০টি পর্যন্ত আবেদন করেছেন। প্রতিটি আবেদন বাবদ ১০০ টাকা করে মোট ৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় করেছে এনটিআরসিএ। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ আবেদন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেখা গেছে, দেশে বিসিএস ক্যাডার পদের চাকরি লোভনীয় ও ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন হলেও চলতি বছর করোনাভাইরাসের জন্য ৪৩তম বিসিএসে কয়েক দফায় সময় বাড়ালেও উল্লেখযোগ্য প্রার্থীর আবেদন আসছে না। সেখানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ এনটিআরসিএ’র নিবন্ধিত ৬ লাখ প্রার্থীর সাড়ে ৩৪ লাখের বেশি আবেদন জমা হয়েছে।

জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত সাড়ে ৩৪ লাখের বেশি আবেদন জমা হয়েছে। অনেকে চাকরি নিশ্চিত করতে অনেকগুলো করে আবেদন করেছে। 

তিনি বলেন, যারা নম্বরে কিছু পিছিয়ে রয়েছেন তারা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, তারা চাকরি নিশ্চিত করতে বেশি আবেদন করেছেন। যারা নম্বরে এগিয়ে রয়েছেন তারা বেশি আবেদন করছেন না।

চেয়ারম্যান বলেন, ১৬তম নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় তাদের তৃতীয় ধাপে নিয়োগ কার্যক্রমে যোগদানের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তারা লিখিতভাবে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে একাধিক আবেদন জানিয়ে চলমান নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানাচ্ছেন।

নিয়োগ কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাইলেও এ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে পারি না। বিষয়টি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আগামী তিন/চার মাস পর চতুর্থ ধাপে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এনএম/এইচকে