আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে কোডিং ও প্রোগ্রামিং ন্যাশনাল কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ (বৃহস্পতিবার) ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি গার্লস ডে উপলক্ষে আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল গোল টেবিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি, গ্রামীণফোন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল আয়োজন করে এ গোলটেবিল বৈঠকের।

পলক বলেন, আধুনিক বিশ্বে নিজেদের এগিয়ে নিতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই অংক, ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ও কোডিং শিক্ষায় পারদর্শী হয়ে উঠতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষক অভিভাবকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে কিশোর-কিশোরীরা আইসিটিতে সফলতা বয়ে আনতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে আরও ৩৫ হাজার আধুনিক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে কিশোরীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আইসিটি শিক্ষায় নিজেদের দক্ষ করে তুলতে উৎসাহিত হবে।

এসএসসি ও এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের আইটিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলেও জানান পলক। তিনি বলেন, কাজটি সফল করতে প্রশিক্ষণার্থীদের মেন্টরিং, কোচিং ও মনিটরিংয়ের জন্য সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

কিশোরীদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানমুখি, দক্ষতানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আধুনিক প্রযুক্তি, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতে আগ্রহী করে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেন পলক। এ সময়ে তিনি ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি গার্লস ডে কার্যকর ও স্বার্থক করে তুলতে সরকার, শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঠিক দায়িত্ব পালনের ওপর জোর দেন।

গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রতিনিধি ওরাল মারফি, ব্র্যাকের প্রতিনিধি কে এম মোর্শেদ, বাক্কোর সভাপতি ওয়াহেদ শরীফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাফিফা জামাল, গ্রামীণফোনের হিউম্যান রিসোর্স প্রধান তানভীর হোসেন।

একে/এনএফ