আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আগামী ১১ মার্চের মধ্যে উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিস থেকে চাহিদা দাখিল করতে হবে। আর ১৩ মার্চ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং ১৮ মার্চ আঞ্চলিক উপপরিচালকরা চাহিদা অনুমোদন দেবেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

৪ মার্চ থেকে পাঠ্যবইয়ের চাহিদা দাখিল শুরু হয়েছে। নির্ধারিত দিনের মধ্যে পাঠ্যবইয়ের চাহিদা অনলাইনে ইনপুট করতে মাঠ পর্যায়ের জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৩ মার্চ এনসিটিবি থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন স্তরের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে মাঠ পর্যায় থেকে অনলাইনে দাখিল ও অনুমোদন করে পাঠানোর জন্য সব জেলা ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হলো।

নির্ধারিত সার্ভারে (http://13.214.189.217/) লগইন করে চাহিদা পাঠাতে হবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। অনলাইনে পাঠ্যবইয়ের চাহিদা দাখিল ও অনুমোদনের জন্য এনসিটিবির নিজস্ব ওয়েবসাইটে (http://www.nctb.gov.bd/) গিয়ে আইসিটি মেনুতে ক্লিক করতে হবে। তারপর এই মেনুর অন্তর্গ‌ত পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা গ্রহণ/বিতরণ সিস্টেম সাব মেনুতে যেতে হবে।

এনসিটি জানিয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ব্যতীত অন্য কোনো অফিসে বা এনসিটিবিতে হার্ড কপি অথবা অনলাইনে বা ইমেইলে চাহিদার সফটকপি প্রেরণের প্রয়োজন নেই। চাহিদা সংক্রান্ত এনসিটিবি কর্তৃক যেকোনো নোটিশ/অফিস আদেশ/পত্র এনসিটিবির ওয়েবসাইটে (www.nctb.gov.bd) অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে।

অতিরিক্ত চাহিদা প্রেরণ করা যাবে না। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য যে পরিমাণ পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা প্রদান করা হয়েছিল তার বিপরীতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহকৃত ও উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তকের হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে।

ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহকৃত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে কী পরিমাণ পাঠ্যপুস্তক উদ্বৃত্ত রয়েছে তার হিসাব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহ করতে হবে।

প্রতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভর্তিকৃত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তকের হিসাব খুব দ্রুত অনলাইনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে।

এনএম/পিএইচ