বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বিনিয়োগে কর অব্যাহতির দাবি
ওয়েবিনারে শিক্ষাবিদরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে করা বিনিয়োগে কর অব্যাহতির সুবিধাসহ সরকার ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘শিল্প ও শিক্ষাখাতের সমন্বয় : শিক্ষাখাতের ভূমিকা’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ওয়েবিনারের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপ-উপাচার্য এম আবুল কাসেম মজুমদার, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) উপাচার্য ড. কারম্যান জেড লামাগনা এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) বিশেষ উপদেষ্টা ও ডিন প্রফেসর ইমরান রহমান প্রমুখ অংশ নেন।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিল্পায়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে শিক্ষা ও শিল্পখাতের দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গবেষণা কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
বিজ্ঞাপন
ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘আমাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠদান শেষে শিল্পখাতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকার কারণে তরুণ সমাজ কর্মসংস্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিল্পখাতের বিশেষ করে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশি নাগরিকদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মুদ্রা বাইরে দেশে চলে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারাকে শ্লথ করে দিচ্ছে। আমাদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ মিলিয়ন, যা এ দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণে অত্যন্ত সহায়ক শক্তি। তবে এ শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য শিল্পখাতের চাহিদা মোতাবেক যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে আমারা বেশ পিছিয়ে রয়েছি এবং এর ফলে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ছে।’
এর পাশাপাশি শিক্ষাখাতের গবেষণা কার্যক্রমের জন্য শিল্পখাতের আর্থিক সহায়তাকে কর অব্যাহতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ইউল্যাবের বিশেষ উপদেষ্টা ও ডিন প্রফেসর ইমরান রহমান বলেন, ‘শিল্প ও শিক্ষাখাতের সমন্বয় এখন সময়ের দাবি এবং আমাদের সব স্টেকহোল্ডারদের মাঝে এটার বোধদয় হয়েছে, যা ইতিবাচক বিষয়। পাঠদান, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়নে আরও বেশি হারে গুরুত্ব দিতে হবে।’
ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন ও মনোয়ার হোসেনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ওয়েবিনারে যোগ দেন।
আরএম/এফআর