রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যের শেষ কর্মদিবসের ‘আলোচিত’ নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। সাত কর্মদিবসের মধ্যেই কমিটি আলোচিত এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

ইতোমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪১ জনের নিয়োগ আটকে দিয়েছে প্রশাসন। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে তাদের যোগদান আপাতত স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত প্রতিবেদনে পর জানা যাবে আসলে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১১ মে) এসব তথ্য জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, আমাদের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে কর্মপরিধি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেটির আলোকে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন এ নিয়োগ দেওয়া হলো এবং এর পেছনে কারা জড়িত রয়েছে, এসব বিষয় আমাদের তদন্তের অনুষঙ্গ হিসেবে থাকছে।

তবে নেপথ্যে কারা জড়িত এভাবে একজন একজন করে বের করতে হলে অবশ্যই বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সাত কর্মদিবসে সম্ভব না। তবুও মন্ত্রণালয় যে সময় নির্ধারণ করেছে, এর মধ্যে আমরা প্রতিবেদন দেব।

কবে নাগাদ প্রতিবেদন দেয়া যাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দুদিন কার্যক্রম চালিয়েছি। যেহেতু আমাদেরকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে, সেহেতু ঈদের পরপরই আমাদের প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হবে।

তদন্ত কার্যক্রমে কী বুঝতে পেরেছেন এমনটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং আর্থিক বিষয়াদি এর  সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা পাওয়া গেছে। আমরা যা যা পেয়েছি এবং পাব তা মন্ত্রণালয়কে জানাব। মন্ত্রণালয়ে সেসবের আলোকে ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে স্বচ্ছতার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সম্প্রতি ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপাচার্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি একাডেমিক, প্রশাসনিক, নিয়োগ, আর্থিক বিষয়াদির একক প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তার কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়টি কেমন চলবে। আমরা চাই, ভালো ইমেজের ব্যক্তি উপাচার্য হোক। সেজন্য সৎ, দক্ষ শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য কাজ করছি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) উপাচার্যের নিয়োগ কার্যক্রম তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ এবং ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

এনএম/আরএইচ