করোনা সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব স্তুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে এক বছরের বেশি সময় ধরে সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রাখতে অনলাইন, টেলিভিশন, রেডিওসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সর্বশেষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

তারপরও প্রাইমারিতে ১৯ শতাংশ, মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত পড়াশোনার বাইরে আছে। অর্থাৎ করোনার এ সময়ে তারা পড়াশোনার একদম বাইরে রয়েছে।

সোমবার (১০ মে) এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ব্রাক ইনস্টিটিউট অব গর্ভমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন।

এপ্রিল ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২১ সাল পর্যন্ত গত এক বছরের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে সেমিনারে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সারাদেশে ৫১ শতাংশ প্রাইমারি শিক্ষার্থী প্রাইভেট, কোচিংয়ে যাচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট কোচিংয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে অভিভাবকদের খরচের বোঝা কমেনি বরং বেড়েছে। এ খরচ গ্রামীণ পর্যায়ে বেড়েছে ১১ শতাংশ, শহর পর্যায়ে বেড়েছে ১৩ শতাংশ।

গবেষণায় বাবা-মায়েদের চারটি বেসিক চিন্তার বিষয় তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমে যাওয়া। শিক্ষার খরচ তুলনামূলক বৃদ্ধি পাওয়া। স্কুল কবে খুলবে সেটি নিয়ে চিন্তা। পড়াশোনায় পাশাপাশি চাকরি নিয়ে চিন্তা। সেমিনারে স্কুল খোলার পর এসব শিক্ষার্থীদের জন্য রিকভারি (ক্ষতি পুষিয়ে) ক্লাসের সুপারিশ করা হয়।

এনএম/জেডএস