পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শতভাগ উৎসব ভাতা না পাওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।

শুক্রবার (১৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা) ১০টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘আগামী পবিত্র ঈদুল আজহার আগে শতভাগ উৎসব ভাতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাচ্ছি। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষায় শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়িভাড়া পান এক হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা পান ৫০০ টাকা। নেই কোনো বদলি, নেই শিক্ষা কল্যাণ ভাতা, শান্তি-বিনোদন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এমপিওভুক্ত শিক্ষার সব সমস্যা একমাত্র জাতীয়করণের মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে।’

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এমপিওভুক্ত শিক্ষাকে জাতীয়করণ করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। দেশের প্রায় তিন কোটি শিক্ষার্থী পাবে মানসম্মত শিক্ষা। ১৩ কোটির বেশি অভিভাবক এক নীতিতে একই মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের সন্তানদের পড়ানোর সুযোগ পাবে। সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী পাবেন তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল।

এ সময় শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

এর আগে সকালে শিক্ষকরা প্রেসক্লাবের সামনে ঈদের নামাজ আদায় করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে শিক্ষা ভবনে ঈদের নামাজ আদায় করেন তারা। ঈদ উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশের পরিবর্তে শতভাগ দেওয়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘সংশোধিত নতুন নীতিমালায় বোনাসের প্রসঙ্গটি আনা হলেও শতভাগ বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এখন শতভাগ বোনাস দিতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থায় কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ আর শিক্ষকরা পান ২৫ শতাংশ। এছাড়া সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেসব মৌলিক বৈষম্য রয়েছে, তার নিরসনের ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছি। এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও আমরা লিখিত আবেদন করেছি।’

এনএম/জেডএস